হযরত শাহ জালাল (রাঃ) এঁর এক ভক্ত ই-মেইলের করে ওরস শরীফে তার
অনুভূতির কথা আমাদেরকে জানিয়েছেন নিম্নে তা তুলে ধরা হলো -
উপলদ্ধিতে হযরত শাহ্জালাল(রাঃ)এঁর ওরস
- মোঃ গোলাম হাসনাঈন নাঈম
সুলতানুল বাংলা হযরত শাহ জালাল (রাঃ) এঁর ৬৮১তম ওরস শরীফে অংশ গ্রহন ছিল আমার জীবনের এক সাফল্যমণ্ডিত অধ্যায়। দরগা গেইটের ভিতরে মাজার শরীফের কাছাকাছি একটি হোটেলে অবস্থান করে হযরত শাহ জালাল (রাঃ) এঁর ওরস শরীফের বিশাল আয়োজন অপলক দৃষ্টিতে আবলোকন করছিলাম। ১৯শে জিলকদ, ১৪ই নভেম্বর বুধবারের সকালটি ছিল এক মহানন্দঘন উৎসব মুখর। সমস্ত লোক (ভক্তগন) অপেক্ষমান। রাস্তার দু’পাশের মানুষ নীরব, নির্বাক ও নিশ্চুপভাবে প্রহর গুনছে গিলাপ/চাদর শরীফ চড়ানো কখন শুরু হবে। রাস্তার দু’পাশে, হোটেলের বারান্দায়, জানালা ও ছাদে অসংখ্য ভক্তগন সময়ের মন্থর গতির সাথে তাল রেখে প্রতিক্ষায় প্রতিক্ষিত। মনে প্রশ্ন একটাই, কখন গিলাপ আসবে? সকাল ১০.৩০ মিনিটে প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাইকে ঘোষণা হল “হযরত শাহ জালাল (রাঃ)এঁর ভক্তগন গিলাপ নিয়ে আসছেন”। গিলাপ আসার ঘোষণা শ্রবন ইন্দ্রিয়ে পৌঁছা মাত্র ভক্তগনের হৃদয় স্পন্দিত হল। অনুরনের জোয়ারে প্রবাহিত মানবের মন ও শরীর। রাস্তার লোকজন এবং হোটেলের অসংখ্য মহিলা, পুরুষ, কিশোর, যুবক সবশ্রেণীর ভক্তরা গোলাপ জল ও আতঁর হাতে নিয়ে প্রস্তুত গিলাপে ছিটানোর জন্য। ইয়েমেনী গেইট থেকে মাজার শরীফের দিকে গিলাপ আসা মাত্র বৃষ্টির ন্যায় আঁতর ও গোলাপ জল ছিটানো শুরু হলো । সুবাসে সুবাসিত হল বাংলাদেশের আধ্যাতিক রাজধানী সিলেট শরীফের প্রাণকেব্দ্র। একের পর এক গিলাপ আসছে আর আসছে। “লালে লাল শাহ জালাল” শ্লোগানে মুখরিত বাংলার আধ্যাতিক রাজধানী সিলেটের প্রকৃতি। অবিরাম গোলাপ জল ও আঁতরর ছিটানোর ফলে ভিজে একাকার গিলাপ শরীফ, মানুষের শরীর সর্বোপরি রাস্তা। রাস্তা একবার ভিজছে তো আরেকবার শুকাচ্ছে। ভক্তরা গোলাপ জল স্প্রে করে গিলাপ ও মাজার প্রাঙ্গণকে সুবাসিত করে চলছে । আমার বাহ্য ইন্দ্রিয়ের দ্বারা হযরত শাহ জালাল (রাঃ) এঁর ওরসের এ সমস্ত এলাহীকান্ড দেখে এতটুকু সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম, আমার মস্তিষ্কের চিন্তা শক্তি যেখানে স্তিমিত সেখান থেকে হযরত শাহ জালাল (রাঃ) এঁর সৌন্দর্য ও প্রকৃত গুরুত্ব শুরু। আল্লাহ্ আমাকে তাঁর সৌন্দর্য আবলোকন করার যোগ্য করে তুলুন (আমিন)।